| |
               

মূল পাতা রাজনীতি অন্যান্য দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই : নুর


দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই : নুর


রহমত নিউজ ডেস্ক     18 March, 2023     07:31 PM    


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, বর্তমান সরকার টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকেও দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই। নির্বাচনকারী নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।  

আজ (১৮ মার্চ) শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন-ক্র্যাবের হল রুমে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সুষ্ঠু গণনা ও ফলাফল ঘোষণা এবং নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে  বাংলাদেশ সনাতন পার্টি-বিএসপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএসপি সভাপতি আশীষ কুমার দাশের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএসপির নির্বাহী সভাপতি অনুপ কুমার দত্ত, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট লিটন বনিক, অনিল পাল, প্রবীণ হালদার, অ্যাডভোকেট বাসুদেব গুহ, ঝন্টু গোস্বামী, অ্যাডভোকেট কালিপদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভেকেট সুমন কুমার রায়।

নুর বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে কিছু কিছু ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়। কিন্তু ওইসব ঘটনার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হয় না। ২০০১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেই ঘটনাগুলোর কমিশন হয়েছে, আরও তদন্ত হোক সেই ঘটনাগুলোর বিচার হোক এটা আমরা চাই। গ্রাম-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় খোঁজ নিলে দেখা যাবে, সব সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের উৎসবে দাওয়াতে আসে। কারণ তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক। গ্রাম-গঞ্জে কোনো বিভেদ নেই। আজ সনাতন পার্টি আওয়াজ তুলেছে। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবতে হবে। কারণ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্যই এ ঘটনাগুলো ঘটনো হয়। 

তিনি আরো বলেন, সুপ্রিম কোর্টে কয়েকদিন আগে কি ঘটেছে? দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আইনজীবীদের পেটাতে পুলিশ গেছে। সেখানে প্রধান বিচারপতির অনুমতি ছাড়া সুপ্রিম কোর্টে পুলিশ ঢুকেছে। সিনিয়র আইনজীবী ও প্রবীণ নেতারা বলছেন, সামরিক শাসক আমলেও সুপ্রিম কোর্টে অনুমতি ছাড়া কেউ ঢুকেনি। কিন্তু কয়েকদিন আগে পুলিশ সেখানে গিয়ে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের মেরেছে ও পুলিশের কর্তা ব্যক্তিরা গিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। মানে গরু মেরে জুতা দান। এতেই বোঝা যায় আগামী নির্বাচন কী হবে।